সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

প্রবাসিদের কস্ট 😥

 আমাদের বুঝতে একটু কস্ট  হয় যে প্রবাসিরা বিদেশ গেলে কেন দেশে আসে না বা দেশে আসার কথা চিন্তা করে না, না করার কারণ তারা দেশে ফিরলে তাদের আপন মানুষগুলোর যে সুখটা আছে বিদেশ থাকাবস্থায়। তাদের সে সুখ থাকবে না দেশে ফিরলে। ... কেননা তারা তাদের কাছে থাকা মাতৃভূমিকে অনুভব করতে পারছে না যেমনটা পারে দেশের বাইরে থাকা

শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১

কষ্টের প্রবাস জীবন 🥺

 আর কত কাল প্রবাসিরা দেশে অবস্থিত আত্মীয় স্বজন দ্বারা অার্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।যারা নিজের কথা না ভেবে নিজের পরিবার কে সুন্দর ভাবে চালানোর জন্য কতই না কষ্ট করে প্রবাসে । দিনের পর দিন কতই না কষ্ট করে গায়ের ঘাম ঝড়ায় ।


মা, বাবা, ভাই ও বোনের কতই না আশা পূরন করে । মাস শেষ না হতে টাকার বরাত চলে আসে আগামী মাসে এত টাকা লাগিবে। পরিবারে লোক জন শুধু প্রবাসিদের টাকাই দেখে নিজের অর্জিত অর্থ দেখেনা । যার প্রবাসে থাকে তারা একটু আবেগ পূর্ন হয়ে থাকে।

পরিবারে কোন লোকের সমস্যা হক বা না হক আগে ছেলে বা ভাইযের কাছে টাকার বাইনা দেয় যেহেতু প্রবাসিরা আবেগ পুর্ন একটু কিছু হলে মনে করে মহাবিপদে আছে আমার মা, বাবা, ভাই ও বোন । এই সব কথার বলা কারন আমার এক বন্ধুর প্রবাস জীবনের কথা গুলো সবাইকে বলিতে চাই সেই জন্য.......

আমার বন্ধুর নাম বলিতে চাই না শুধু তার প্রবাস জীবনের কষ্টের কথা বলিতে চাই । তবে ব্লগে লেখার পরে বলিব । সে ২০০৪ সালে প্রবাসে আসে লেখা পড়া বেশি করে নাই তার কাজ যোগে ইন্টারনেট কার্ফেতে ।

তার জীবনের প্রথম কাজ এর আগে কোন দিন কামলা দেয়নি । সে যখন কাজে যোগ দেয় সে কম্পিউটার জানে না । যেহেতু কম্পিউটার জানেনা তাই তার কাজ হয় কম্পিউটার টেবিল পরিষ্কার করার । তার কাজের সময় নিধারন হয় ১৮ ঘন্টা খুবই কষ্ট পূর্ণ কাজ তার বেতন ধরা হয় ৬০০ দেরহাম কার মধ্যে থাকা ও খাওয়া ।

এর মধ্যে সব কিছু নয় ভাবা খুবই কষ্টের আমাদের শুনিতেই কষ্ট লাগিতেছে তাহলে তার মনে কেমন করে ছিল ভাবাই কষ্টের । তার বাবা ছিল না । তারা তিন ভাই ও এক বোন আর সে ছিল সবার ছোট । সে তার বড় ভাই কে বাবা মতই শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করিত । এক কথাই অন্ধবিশ্বাস । প্রবাস থেকে সে শুধু তার সঙ্গে কথা বলিত আর তার কথাই শুনিত । যেহেতু অল্প বেতন বেশি কাজ তার মনে অনেক কষ্ট হত কিন্তু সে সব কথা বলিত না ।

আমার নিজ হাতে একটি গল্প প্রবাসে বসে লেখলাম🥺

 Exile does not mean money,

 it is the way to build life,

 Exile does not mean cheer,

 Anupam is one Becca.

 Exile does not mean smile,

 tears of tears,

 Life means the force of building life in the world.

 Exile means a colorful letter of darling,

 The exile is the love of the people Preety.

 Exile is the pr̥raṇa separation small small Hope,

 Exile is brother's smile, sister's Happy birthday to you Exile is the thrill of happiness in the father's chest.

 Exile is the Erin of smile on mother's face,

 Exile means the hands of the sabādhīnatā,

 Exile means the one of life with work Sensational.

 Exile means discipline comes every day,

 Life means past memories are only in the eyes.

 Exile means a lot from life Lost,

 Exile means your own creation I don't want to be able to do it.

 Foreign means to shake the mamta of the country,

 Life is just a game of money.

প্রবাস জীবনের এক অসমাপ্ত গল্প😥😥

 প্রবাস জীবন মানেই কষ্টের । তারপরও কিছু কিছু কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকেনা । এমনি এক অসহনীয় কষ্টের কাহিনি আপনাদের জন্যঃ

  জীবনের আর্ধেকটা সময় প্রবাসে চলে গেল। আমার মা বাবা,ভাই বোন, বউ বাচ্চা সবাই বলে আমি নাকি সফল প্রবাসি, আমার পরিবার নাকি গর্ব করে আমাকে নিয়ে। আমার বাবা তো প্রায় বলে আমি নাকি তার সেরা সন্তান । আগে পরিবারের কথা শুনে খুব ভাল লাগত।

  নিজেকেই সুখি মনে করতাম কিন্তু এখন কেন জানি আর এই সব কথা শুনতে ভাল লাগে না খুব বিরক্ত লাগে। আর বিরক্ত লাগার কারন হলো বয়সের ভার, যাই হোক এখন ভাবতাছি দেশে চলে যাবো, দেশে গিয়ে ব্যবসা করবো যে ২৫ লক্ষ টাকা আছে সে গুলো দিয়ে। বারি ঘর তো সবাই করলাম। এখন যে টাকা গুলো আছে সেগুলো দিয়ে কিছু একটা করে পরিবারের সাথে থেকে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেব।

  হটাৎ একদিন বাবা বললো বাড়িতে বিল্ডিং তোলার জন্য। আমি বললাম বিল্ডিং তোলার টাকা কই পাবেন। তখন বাবা বললো কেন ব্যাংকে যে টাকাগুলো আছে । ব্যাংকের টাকা গুলো না হলে কয়েক লাখ টাকা ঋন করবো , তুই মাসে মাসে ঋন শোধ করবি। আমি বললাম না বাবা বিল্ডিং তোলার দরকার নাই। যদি বিল্ডিং তুলেন তাহলে যে আমার বাকি জীবনটাই প্রবাসে কাটাতে হবে। তখন বাবা বললো আমার অনেক দিনের ইচ্ছে বিল্ডিং ঘুমাবো ।

  এদিকে বউ একই কথা বলছে। মা ও বলছে পাশের বাড়ি অনেকই বিল্ডিং তুলছে তুই কেন তুলবি না। আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বাড়ি সবাই বলছে বিল্ডিং তুলতে। বিল্ডিং তুললে নাকি সমাজে মানুষের কাছে দাম পাওয়া যায়। সমাজে বড় লোক হিসাবে পরিচিত হওয়া যায়। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনলে না।

  এদিকে আমার কষ্টটা কেউ বুঝলো না। আমি জানি বিল্ডিং তুলে আমার আরো ১০ বছর প্রবাসে থাকতে হবে। কারন যে টাকা গুলো আছে তা বিল্ডিং তুলতে খরচ হয়ে যাবে। ছেলেমেয়েদের ভবিষৎতের জন্য বাকি জীবনটা প্রবাসে কাটাতে হবে। কিন্তু এই প্রবাস জীবন টা আমার আর ভাল লাগে না। আজ আমি অনেক ক্লান্ত, বয়সের ভারে শরীলের শক্তিগুলো প্রতিনিয়তো ঝড়ে পরছে। এখন আর আগের মত কিছু ভাল লাগে না।

  যখন বাড়িতে বললাম আমি দেশে চলে আসব। তখন আমার কথা শুনে সবাই অভাগ হয়ে গেল। হাজারটা প্রশ্ন কেন দেশে আসবো। দেশে এসে আমি কি করবো এমন হাজারটা প্রশ্ন। আমার বাবা তো বলে ফেললেন আমি নাকি দেশে এসে কিছু করতে পারবো না। দেশের অবস্তা নাকি ভাল না,আর আমার দ্বারা দেশে ব্যবসা করাটা অসম্ভব। আমার বউ বলে দেশে এসে কি করবেন বিদেশ আছেন ভাল আছেন।

  এখন দেশের ব্যবসা – বানিজ্য ভাল না। নিজের সন্তানদের ভবিষৎতের কথা চিন্তা করে হলে ও বিদেশ থাকতে হবে। বাবা আর বউয়ের কথা শুনে অনেক কষ্ট পেলাম। যে আমি প্রবাসে কাটিয়ে দিলাম এতটা বছর। প্রবাসে প্রতিটি দিনই করতে হয়ে যুদ্ধ। আর সে আমি নাকি দেশে গিয়ে কিছু করতে পারবো না।

  সবাইকে বললাম কেউ আমার কথা বুঝল না। সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেলাম মা র কথা শুনে মা বলে, বাবারে তোর মত সহজ সরল মানুষেরা দেশে এসে কিছু করতে পারবি না। এই দেশটা ভাল মানুষের জন্য নয়। যতদিন বিদেশে থাকতে পারিস ততদিন ভাল থাকবি। অথচ এই আমি অপরিচিত দেশে ভিন্ন ভাষা মানুষের সাথে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিলাম। একজন সফল প্রবাসী বটে। অনেক টাকা পয়সা রোজগার করলাম।

  এই আমি নাকি নিজ দেশে গিয়ে কিছু করতে পারবো না। খুব জানতে ইচ্ছে করে যারা দেশে আছে তারা কি বেঁচে থাকে না। তারা কি না খেয়ে থাকে। হয়তো তাদের সংসারে বিলাসিতা নেই দামি দামি খাওয়া, দামি পোশাক। তবু তো তারা বেঁচে থাকে। হয়তো দেশে থাকলে জীবন যুদ্ধটা একটু কঠিন। আমার সবকিছু ভুলে মেনে নিলাম পরিবারের সিদ্ধান্তকে।

  কারন বাঙ্গালিরা পরিবারবিহীন থাকতে পারে না। কিন্তু কেন আপন মানুষগুলো এত স্বার্থপর হয়। আমিতো চেয়ে ছিলাম বাকি জীবনটা ছোট একটা ঘর তুলে বউ বাচ্চা, মা বাবাকে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব। আমার চাওয়াগুলো কেন প্রিয় মানুষগুলো বুঝে না। আজ যে আমি অনেক ক্লান্ত । আমি যে পারছি না বয়সের ভারে জীবনটাকে চালিয়ে নিতে।

  আমি জানি না আরও কত বয়স প্রবাসে কাটাতে হবে হয়তো মৃত্যু অব্দী, আর তা যদি হয় আফসোস নেই। আমি ও চাই যেন আমার মৃত্যুটা একজন সফল প্রবাসী হিসেবে এই প্রবাসেই হয়। আর তখন পরিবার, সমাজ, দেশ আমাকে একজন সফল প্রবাসী হিসাবে গর্ব করব। গল্পটা এখানে সমাপ্তি হলে ভালই হতো। কিন্তু প্রবাসীদের একটি গল্পের পর অরেকটি গল্প শুরু হয়। আর এই গল্পের সমাপ্তি করতে গিয়ে জীবন থেকে চলে যায় অনেক গুলো বছর। প্রবাসিদের শুধু টাকা উপার্জন কারী রোবট না ভেবে পরিবারের একজন ভাবি।


প্রবাসীদের জীবন কাহিনী😥😥

 >>প্রবাস মানে বিদেশ বা দূরদেশ, প্রবাস মানে আত্মীয়স্বজন বিহীন বছরের পর বছর একাকী কাটিয়ে দেয়া, প্রবাস মানে দেয়ালবিহীন কারাগার, প্রবাস মানে শত দুঃখ কষ্টের সঙ্গে বিরামহীন জীবন যুদ্ধ করা।


 ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় জীবিকার তাগিদে কারো ছেলে, কারো ভাই, কারো বাবা, কারো স্বামী অন্যের সুখের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে দেশান্তরী হয়। এই দেশান্তরী হওয়া মানুষগুলোর সুন্দর একটি নাম প্রবাসী।

 প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা অর্থাৎ রেমিটেন্স বাংলাদেশের আয়ের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রবাসী। এই এক কোটির সাথে পরিবারের ৫ জন করে সদস্য হিসাব করলে মোট ৬ কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িত।

 আমি শতকরা ৯০ ভাগ প্রবাসী অর্থাৎ সাধারণ শ্রমিকদের কথা বলছি। প্রবাসীরা মাসিক যে বেতন পায় তার এক- তৃতীয়াংশ নিজের রুম ভাড়া,খাওয়া, মোবাইল ও অন্যান্য খরচে চলে যায়।

 বাকি দুই- তৃতীয়াংশ পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয় ; তাতে ঘর খরচ, ছেলে- মেয়ের স্কুলের খরচ, ভাই -বোনের বিবাহ, মা -বাবার চিকিৎসা খরচ ও সহধর্মিনীর হাত খরচ ইত্যাদি।

 সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু অনেকের ভাগ্যে ঠিকমতো বেতন জোটে না,  (৪-৫) মাস পর্যন্ত বেতন বাকি থাকে।তখন ধার-কর্জ করে প্রিয়জনের সুখের জন্য টাকা পাঠিয়ে থাকে।

 কিন্তু সে দুঃখ কাউকে বুঝতে দেয় না। নিরাশার অতল গহবরে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো চোখের নোনাজল উপেক্ষা করে বুকের কষ্ট বুঝতে না দিয়ে বলে মা আমি ভালো আছি, বাবা আমি ভালো আছি। প্রতিটি টাকা খরচ করতে থাকে দুইবার ভাবতে হয়।

 এবার আসি প্রবাসীদের জীবনযাত্রা। কর্ম ভেদে কাজ ভিন্ন হয় যেমন বড় কোম্পানিতে ভোর চারটায় উঠে দুপুরের খাবার নিয়ে (৩০-৪০) কিলোমিটার দূরে বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এর কাজে যেতে হয়।

 দোকানের চাকরি সকাল পাঁচটা- ছয়টা থেকে রাত দশটা- এগারোটা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে কষ্টের কাজ হচ্ছে বাগান ও ঘরের চাকরি। যেখানে শুধুমাত্র নিদ্রাটাই বিশ্রাম।

 একটু বিশ্রাম নেবে তার সুযোগ নেই ; শুধু কাজ করে যাও। শুধু তাই নয়, তার উপর আবার মানসিক নির্যাতনও চলে। বছরে রমজান ঈদ ও কোরবানি ঈদ দুই দিন করে মোট চার দিন বন্ধ পাওয়া যায়।

 জীবনের সোনালী দিন ও মধুময় যৌবন হাসিমুখে বিসর্জন দেয়। মা-বাবার স্নেহ , ছেলে মেয়ের আদর ,স্ত্রীর ভালোবাসা ,ভাই বোনের মমতা থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি পরিবার ও সমাজের সব অনুষ্ঠান থেকেও বঞ্চিত। 

বছরের পর বছর যাদের জন্য তাঁরা প্রবাসে; সেই পরিবারও অনেক সময় তাদের ভুল বুঝে, মনে কষ্ট দেয় । তাঁদের সব সময় এটা -ওটা পাঠাতে বলে। পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্বারা তাঁরা অবহেলার শিকার হয়।

 পরিবার ও তাদের দুঃখ বুঝেনা, এ এক নির্মম পরিহাস। এই কষ্ট কাকে বলবে? কে শুনবে? কার জন্য করলাম ? এটা আমার কথা নয়, প্রতিটি প্রবাসীর আত্মকথা। প্রবাসে একা থাকা, নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা খারাপ পরিবেশে কাজ করা ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হূদরোগ, কর্মক্ষেত্রে বা সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি মাসে (১০০-১৫০) জন ফিরে লাশ হয়ে। এখন নিশ্চয়ই দেশের মানুষ আর প্রবাসের মানুষ পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন।

 এখন প্রবাসীদের একটু সুখ দুঃখের কথা বলি। সুখ হচ্ছে মাস শেষে যখন হাতে বেতন আসে এবং তা পরিবারের কাছে পাটায়; তখনই আনন্দ তখনই সুখ। যখন শুনে মা বাবা সহ পরিবারের সবাই ভালো আছে  তখন এক মহা আনন্দ। 

দুঃখ হচ্ছে মাস শেষে টাকা না পাওয়া এবং বাড়িতে কারো অসুস্থতা এবং সবচেয়ে কষ্টের হচ্ছে যখন বিদেশে থাকা অবস্থায় আপন জনের মৃত্যু সংবাদ।

 তাই প্রবাসী পরিবারের কাছে মিনতি আপনারা প্রবাসীর চাওয়া-পাওয়া কোন সময় বুঝতে চেষ্টা করেননি? প্রবাসীরা পরিবারের কাছে একটু সহানুভূতি ও সুন্দর ব্যবহার কামনা করে তাও আপনারা দিতে ব্যর্থ।

 দুঃখের সাথে বলছি প্রবাসীদের জন্য নূন্যতম কেউ ভাবে না। তাই প্রবাস মানে নিঃসঙ্গতা, প্রবাস মানে দুঃখ কষ্টের সাথী, প্রবাস মানে নিজে রান্না করে খাওয়া, প্রবাস মানে জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করে যাওয়া, প্রবাস মানে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও চোখ বুজে সহ্য করা, প্রবাস মানে দীর্ঘ নিঃশ্বাস।

 সবকিছু থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও পরিবার সমাজ এবং দেশ থেকে শুধু অবহেলা পেয়েছে। আমি একটু ব্যাখ্যা করি, কষ্টার্জিত টাকা প্রবাসীরা পরিবারকে দিয়ে থাকে সেই টাকা সমাজ ও দেশের জন্য খরচ করেন।

 তার মানে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দেশের উন্নতি হয় দেশে কাজ করা আর বিদেশের মাটিতে কাজ করার পার্থক্য অনেক কিছু। নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝেছেন আপনারা।

 বিমানবন্দরে প্রবাসীদের কামলা বলে অপমান করা এবং মালপত্র নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রবাসীরা কি চাই? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সুন্দর ব্যবহার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।

 প্রবাসী পরিবারকে আইনি সহায়তা, চিকিৎসা, ব্যাংক, শিক্ষা ও সামাজিকতায়  অগ্রাধিকার দেওয়া। দুঃখের বিষয় সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যূনতম সেবা পাওয়া যায় না। প্রবাসীদের প্রতি দেশ ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।

 সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা ও মা বাবার দোয়া বা আশীর্বাদে প্রবাসীরা অনেক বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পায়। বাংলাদেশের সৈনিকরা যেমন দেশরক্ষার অতন্ত্র প্রহরী; ঠিক তেমনি প্রবাসীরাও দেশ উন্নতির চাবিকাঠি ।

 সৈনিকরা যদি অধিকার পায় তাহলে প্রবাসীরা কেন নয। প্রবাসীরা সৈনিকের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। প্রতিটি প্রবাসী এক একটি জীবন যুদ্ধের সৈনিক। কেউ না হেঁসে অন্যের হাঁসি পেতে ভালোবাসে ! আবার কেউ না খেয়ে অন্যকে খাওয়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যায় ! আবার কেউ অন্যের সুখের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে দেয়।


প্রবাসে প্রিয়জনের সান্নিধ্য

 >শুধু অজানাকে জানার আর অচেনাকে চেনা নয়, জীবিকা ও জীবনের তাগিদে, সোনালী স্বপ্নের হাতছানিতে সাত সমুদ্দুর তের নদী পার হয়ে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর প্রতিটি কোণে। নিজের দেশ, নিজের জন্মভূমি নিজের দেশের মাটি আর প্রবাসজীবনের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান।

 প্রবাস জীবন মানে নিষ্ঠুর, নিঃসঙ্গ জীবনযাপন এবং প্রিয়জনের সান্নিধ্য থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে দেয়ালবিহীন কারাগারে এতিমের মতে বসবাস করা। কারও দুঃখ কেউ বুঝতে চেষ্টা করে না। নিজের দুঃখ নিজে অন্তরে রেখে নীরবে কান্না করতে হয়। প্রবাসে যারা এসেছেন একমাত্র তারাই প্রবাসজীবন যে কেমন নির্দয় ও নির্মম তার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

 শস্য-শ্যামলা সবুজেঘেরা সোনার বাংলাদেশ এবং মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয়স্বজন এমনকি নিজের প্রিয় স্ত্রীর মায়া-মমতা ভালোবাসা ত্যাগ করে, সংসারের সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, আর্থিক উন্নতির জন্যই প্রবাসের মাটিতে পা রাখতে হয়।

 বিদেশে এসে চাকরি করে অনেক টাকাপয়সা বাড়িতে পাঠাব। দুঃখের ছায়ার পরিবর্তে সুখের আলোতে সংসার উজ্জ্বল হবে। এ প্রত্যাশা বুকে নিয়ে আমরা প্রবাসে এসেছি। কিন্তু আমাদের সেই সুখ, সেই সুখের স্বপ্ন সবাই কি পূরণ করতে পেরেছি? না।

 বেশির ভাগ প্রবাসীই তাদের আশা-আকাঙ্খা এবং তাদের যে উদ্দেশ্যে প্রবাসে আসা তা বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয় না। কারও মালিক ঠিকমতো বেতন দিচ্ছে না, আবার কেউ দেশ থেকে যে বেতনের কথা শুনে এসেছিল, তারা দেখতে পেল সেই বেতনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। আবার সঠিক বেতন পেলেও সে বেতন নিয়মিত নয়।

 সবাই যে খারাপ অবস্থায় আছেন তা কিন্তু নয়। অনেক বাংলাদেশি ভাই আছেন তারা ভাল পদে চাকরি করে বেশি বেতন পাচ্ছেন। তাদের পরিবার পরিজনেরা সুন্দরভাবে দিনাতিপাত করছেন।

 তাই আমার অনুরোধ যারা বিদেশে চাকরির জন্য নিজ মাতৃভূমি ত্যাগ করার চিন্তাভাবনা করছেন তারা যেন একটু যাচাই বাছাই করে ভিসা এবং কন্ট্রাক্ট ফর্ম দেখে বিদেশে পাড়ি জমান। আর দেশে যদি কোনো ভালো চাকরি করা যায় তবে তাই করা উচিত। দেশের ছেলে দেশের মাটিতে থেকে যে কোনো ভালো চাকরি বা ব্যবসা করতে পারেন তাহলে কোনো কথাই নেই ।

 প্রবাসীরা যখন দেশে পরিবারের মানুষদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, তখন কেমন আছিস, কোনো চিন্তা করিস না, আমরা ভালো আছি, বাড়ির সবাই ভালো আছে, কোনো সমস্যা অথবা সমস্যার সমাধান, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলোই বলেন। কেউ কেউ অনেক সময় ঝগড়া করে, তর্ক করে, নালিশ করে।

 দেশ থেকে যারা ফোন করেন বিশেষত যাদের প্রবাসজীবনের অভিজ্ঞতা নেই, তারা একজন প্রবাসীর মনের অবস্থা, তার একাকিত্ব, তার আবেগ, তার কষ্ট, তার উদাসীনতা, তার নীরব কান্না এগুলো বুঝতে পারেন না। এই অনুভূতিগুলো অনুভব করাও তাদের পক্ষে সম্ভব না। প্রবাসীজীবনে প্রবাসীরাই এইগুলো বেশি অনুভব করেন।

 প্রবাসী আমাদের মনে অনেক কষ্ট। কারণ আমরা মা-বাবা, ভাইবোন সবাইকে ছেড়ে বন্দী জীবন কাটাই। সকালে উঠে কাজে যেতে হয় আর রাতে ফিরি। দুপুরে পলিথিন ব্যাগে রাখা খাবার খেতে হয়। কখনো ভালো থাকে আবার কখনো বা খাবার নষ্ট হয়ে যায়।

 প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ শুনেও কিছু করার থাকে না। এমন হতভাগ্য আমরা। যখন কেউ একটু অসুস্থ হয় তখন পাশে কেউ থাকে না সেবা করার। অসুস্থকে রেখে সবাই চলে যায় সবার কাজে। কারও একটু সময় নাই তার পাশে থাকার।

 হায়রে প্রবাস! এই প্রবাসে এসে কতো আপন মানুষ হয়ে গেল পর। কতদিন চলে গেল, বোনের ভাইয়া ডাক শুনতে পাইনা। মা বলে না, আয় খোকা আমি নিজের হাতে তোকে খাইয়ে দিব। কতদিন আর কতদিন এভাবে কাটাব? জানি না। আমরা কবে এই দাসত্ব থেকে মুক্ত হব।

 তার পরও আমরা চাই আমাদের প্রিয়জনের মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে তুলতে। রাত যায়, দিন যায়, থাকি পড়ে একা। রোজা যায়, ঈদ যায়, যায় কতো সুখের দিন, দেশের মানুষ কতো আনন্দ করে, আমরা তা দেখি প্রতিদিন। তবুও আমরা অনেক সুখ পাই যখন শুনতে পাই তোমরা আছ সুখে, আমরা ভালো আছি প্রবাসে জীবনের সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে ভুলে।

 সকলের কাছে অনুরোধ, যারা দেশে আছেন আর বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-সজন অথবা পুত্র-কন্যা কিংবা স্বামী-স্ত্রী যেই প্রবাসী হোক না কেন সব কিছুর মধ্য দিয়ে প্রবাসীদের সেই কষ্ট, অনভূতি, বেদনা, নীরব কান্না একটু বোঝার চেষ্টা করবেন। তাদেরকে যতখানি সম্ভব একাকিত্ব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। তাদেরকে যতখানি সম্ভব নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না আপনার বিশেষ এই অনুভূতি একজন প্রবাসীর জীবনে কতখানি প্রভাব ফেলবে। তার প্রবাস জীবন কতখানি আনন্দময় হয়ে উঠবে।

 আপনাদের বাবা, ভাই, স্বামী যেই প্রবাসে থাকুক না কেন, তাদেরকে একটু সুখ দিতে চেষ্টা করবেন এই বাংলাদেশ থেকে। আর আমার মনে হয় যখন কেউ তার প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে একটু আনন্দবোধ করে তার কাছে কষ্টকে আর কষ্ট মনে হয় না।


দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পর্ক

 দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পর্ক গভীর হয়েও গভীর হতে পারে না, তার কারণ প্রবাসীদের কখনোই দেশ সম্মানের চোখে দেখে না বা তাদের মূল্যবোধের জায়গাটা দেয় না।


 কারণ প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকে বলে। প্রবাসীরা দেশের জন্য দেশ ছেড়ে যায় অন্য দেশে এটা বুঝলেও বোঝে না দেশের মানুষ। 

বেশ বড় বড় মানুষ বলে, প্রবাসীরা দেশ ছেড়েছে দেশের প্রতি তাদের মায়া, দেশের প্রতি তাদের টান নেই বলে, কিন্তু তারা এটুকু বোঝে না বা এটুকু বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই যে,

 আমাদের দেশে কর্মসংস্থানেরর অভাবেই তারা দেশ ছেড়েছে, আমাদের দেশের মানুষজনদের ভালো রাখার জন্য তারা দেশ ছেড়েছে।

  দেশ প্রবাসীদের ভুলে গেলেও প্রবাসীরা কখনো দেশের কথা ভোলে না, তারা ভুলতে পারে না, কেননা সে সেদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে পারে। 

সুতরাং বলা যায়, প্রবাসীদের সঙ্গে দেশে সম্পর্কটা ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ না হলেও দেশের প্রতি প্রবাসীদের একটা টান আছেই শুরু থেকে।

 কেননা তারা তাদের আপনজনদের দেখা পাওয়ার জন্য যেখানেই যাক না কেন সবশেষে তাদের দেশেই ফিরে আসতে হয়, মা বলে ডাকার জন্য নিজের গ্রামটার মনোমুগ্ধকর প্রতিচ্ছবি তাকে বার বার দেখায় যেন তার টান, দেশের প্রতি তার মায়া আরো তীব্র হয়ে ওঠে তার কাছে।

  যে তীব্রতায় মিশে থাকে মা, মাটি, দেশ, মমতা অনেক কিছু। যা আসলে প্রবাসীদের মতো করে ভেতরে ভেতরে আর কেউ এত গভীর করে লালন করতে পারে না।

 পারবেই বা কেমন করে, প্রবাসীরা যে তাদের মায়া ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে না বা অর্জন করলেও তাদের বিবেক তাদের অর্জন করতে দেয় না, সবসময় তাদের ভেতরে ভেতরে বুকের মধ্যে বাজতে থাকে যে, এটা তোমার দেশ না, এটা তোমার দেশ না।

 তোমার দেশ বাংলাদেশ। তখন প্রবাসীরা নতুন করে সবকিছু দেখতে শুরু করে, যে দেখায় মিশে থাকে দেশের প্রতি গভীর মমতা।

  এই মমতাই তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনে, প্রিয় মানুষের কাছে এসে তারা তাদের মুখ দেখে প্রবাসে থাকার তৃষ্ণা দূর করে। প্রবাসীরা আমাদের দেশের সম্পদ। 

তারা না থাকলে আমাদের দেশের উন্নতি এতটা চোখে পড়ত না, বাংলাদেশের নামটা অন্যান্য দেশের মতো এত স্পষ্ট করে পরিচিতি পেয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত না বা তার কাজ সম্পর্কে, এই দেশ সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা হতো না

বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১

🙂প্রবাসীদের লাইফ থেকে আর বড় কি হতে পারে রূপকথাও হার মেনে যাবে

 কোন এক সময় আমিও ঐ রূপকথায় বিশ্বাসী ছিলাম

তাই সহজেই অনুমান করতে পারি।

একটানা ১৫ বছর দেশে যাবার সুযোগ হয় নি
অনেক চেষ্টা ও তদবির করার পর দেশের মাটিতে যাবার সৌভাগ্য হয়

এবং অনেক অজানা সত্য ও তথ্য জানতে পারি
যা অনেক সময় কষ্টের কারন হয়।

আবার কখনও হাসির খোরাক।
প্রবাসী বলতে একটা সুখী মানুষকে ইঙ্গিত করা হয়।

যাদের নেই কোন অভাব।
পকেট ভর্তি টাকা আর না চাইতে হাজার সুখের ফুলঝুরি আমাদের চারপাশে চরকার মত ঘোরতে থাকে।

চাহিবা মাত্র সবকিছু আমাদের সামনে এসে হাজির।
এই কথা গুলো যখন সবাই বলাবলি করে আমি একা একাই হাসতে বাধ্য হই।

না হেসে কি উপায় আছে? প্রবাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর এই কথা যখন কানে আসে তখন নিজেকে নিয়েই হাসি।

সত্য কথা গুলো বলতে ইচ্ছে হয় কিন্তু বলা হয় না কারন আমার এই বস্তা পঁচা কথা কেউ শুনবে না

তা আমি ভালো করেই জানি।
ভূ্ল করে যদি কারো কাছে প্রকাশ করা হয় তখন আমাদেরকে নিয়ে অন্য কথা বলা হয়,

রহস্যময় চোখ দিয়ে আমাদেরকে বার বার পরখ করা হয়।
দেশের মানুষের বিশ্বাস আমরা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি,
ফাঁকি দেবার জন্য কাহিনী রচনা আর কি।

দেশের মানুষের ধারনার সাথে আমাদের কোন মিল নেই যা আমার মতো প্রবাসীরা এক বাক্যে স্বীকার করবেন।

দেশের অধিকাংশ মানুষ আমাদেরকে স্বার্থ্পর হিসাবেই জানে।
আমরা নাকি আমাদেরকে নিয়েই ব্যাস্ত।
আমরা যদি সত্যি সত্যি স্বার্থ্পর হই তাহলে কেন বার বার দেশের মাটিতে ফিরে যাই?

কেন আমাদের চোখের জল শুকায় না?
কেন সবকিছু ভূ্লে প্রবাসে পড়ে থাকি?
আমাদেরকে বলা হয় স্বার্থ্পর!

হায়রে মানুষ একি হলো তোমাদের?
কেন এত বড় অপবাদ দাও?
লক্ষ লক্ষ প্রবাসীরা যদি স্বার্থ্পর হতো তাহলে এই বাংলার অন্য এক রূপধারন করতো😦

প্রবাসীদের মনে থাকা কষ্ট 🥺

 প্রবাসীর বুকে কষ্টের আগুন বিরহের আগুন,এই কষ্টের অসহ্য যন্ত্রনা প্রবাসী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।


আমাদের প্রতিদিনের কষ্ট কাহিনী অনেকেই জানে না,
বেশীর ভাগ সময় আমরা নিজেই প্রকাশ করতে সাচ্ছন্দ বোধ করি না কারন কষ্টের কথা যন্ত্রনার কথা প্রকাশ করাও এক ধরনের কষ্ট।

আমাদের বুকের যন্ত্রনা প্রতিটি ক্ষন মূহুর্তে অন্তরে অন্তরে অবলীলায় আমাদেরকে কাঁদিয়ে যায়।

আমাদের চোখের জল চোখেই শুকায়, কেউ আদর করে মুছে দেয় না। বেঁচে থাকার জন্য, ভালো থাকার অভিনয় করে নিজেই নিজের সাথে ছলনা করি।

দেশের পরিবার পরিজন যাহাতে ভালো থাকতে পারে এই চিন্তা মাথায় রেখেই আমাদেরকে অভিনয় করে হলেও সুখী মানুষের মত অভিনয় করতে হয়।

একজন প্রবাসী আরো একজন প্রবাসীর সাথে যেভাবে জীবনের দুঃখ যন্ত্রনা ভাগাভাগি করে আপন পরিবার পরিজনের সাথে এই ভাবে প্রান খোলে কথা বলতে পারে না।

কারন মাত্র একটা “পিছনে রেখে আসা মানুষ গুলো সুখে থাকুক আমাদের কষ্ট যেন ওদেরকে স্পর্শ করতে না পারে” দেশের মানুষ শুধুই আমাদের সুন্দর সাস্থ্য আর হাসি মাখটাই দেখে,

তাই আসল সত্যটা হাসি আর চোখে দেখা সুখের আবরনে ঢাকা পড়ে যায়।আর এক ধরনের ভূ্ল ধারনা বদ্ধমূ্ল হয়। প্রবাসের বাস্তব চিত্র আমি যেভাবে দেখেছি

তার সাথে দেশের মানুষের অনেক দ্বিমত থাকতে পারে, তবে যা দেখেছি তা কাগজ কলমের সাহায্যে আপনাদের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো।

তির্থের কাকের মত আশায় চেয়ে থাকা প্রবাসী জীবনের এক একটি দিন যা কাউকে সহজে বুঝাতে পারি না।

প্রবাসে টাকা আছে তবে সুখ যে নেই তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সবার ধারনা প্রবাস মানেই হলো সুখ আর সুখ।

বাস্তব সত্য হলো আমরা নামে মাত্র শুধু বেঁচে থাকি তবে বেঁচে থাকার স্বাদ আমাদের ভাগ্যে নেই। ভালোবাসাহীন জীবন নিয়ে বুক ভরা কষ্টের পাহাড় নিয়ে সুখের আশে পাশেও যাবার ভাগ্য হয় না আমাদের।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা বেঁচে নেই যাকে বলে জিন্দা লাস 🙂🙂🙂

প্রবাসীদের মনের কথা,, নাম্বার --২

 আমার জীবনে কেউ নেই তুমি ছাড়া আমার জীবনে কোন স্বপ্ন নেই তুমি ছাড়া আমার দুচোখ কিছুই খোঁজে না তোমায় ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারিনা তোমায় ছাড়া আমি কিছু লিখতে পারিনা তোমার নাম ছাড়া আমি কিছুই বুঝতে চাইনা তোমায় ছাড়া,,,,শুধু তুমি হবে আমার রাজ্যের রাণী 🥰🥰

প্রবাসীদের মনের কথা,, নাম্বার---১

 আমি চাইনা তুমি আমাকে বার বার বলো আমি তোমাকে ভালোবাসি. কিন্তু আমি চাইছি তুমি আমার জন্য একটু অপেক্ষা করো, আমি বলছিনা তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসবে কিন্তু আমি বলছি তুমি আমাকে একটু সুযোগ দিও তোমাকে মন উজাড় করে ভালোবাসতে 😊😊

প্রবাসিদের কস্ট 😥

  আমাদের বুঝতে একটু কস্ট    হয় যে প্রবাসিরা  বিদেশ গেলে কেন দেশে আসে না বা দেশে আসার কথা চিন্তা করে না, না করার কারণ তারা দেশে ফিরলে তাদের ...