কোন এক সময় আমিও ঐ রূপকথায় বিশ্বাসী ছিলাম
তাই সহজেই অনুমান করতে পারি।একটানা ১৫ বছর দেশে যাবার সুযোগ হয় নি
অনেক চেষ্টা ও তদবির করার পর দেশের মাটিতে যাবার সৌভাগ্য হয়
এবং অনেক অজানা সত্য ও তথ্য জানতে পারি
যা অনেক সময় কষ্টের কারন হয়।
আবার কখনও হাসির খোরাক।
প্রবাসী বলতে একটা সুখী মানুষকে ইঙ্গিত করা হয়।
যাদের নেই কোন অভাব।
পকেট ভর্তি টাকা আর না চাইতে হাজার সুখের ফুলঝুরি আমাদের চারপাশে চরকার মত ঘোরতে থাকে।
চাহিবা মাত্র সবকিছু আমাদের সামনে এসে হাজির।
এই কথা গুলো যখন সবাই বলাবলি করে আমি একা একাই হাসতে বাধ্য হই।
না হেসে কি উপায় আছে? প্রবাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর এই কথা যখন কানে আসে তখন নিজেকে নিয়েই হাসি।
সত্য কথা গুলো বলতে ইচ্ছে হয় কিন্তু বলা হয় না কারন আমার এই বস্তা পঁচা কথা কেউ শুনবে না
তা আমি ভালো করেই জানি।
ভূ্ল করে যদি কারো কাছে প্রকাশ করা হয় তখন আমাদেরকে নিয়ে অন্য কথা বলা হয়,
রহস্যময় চোখ দিয়ে আমাদেরকে বার বার পরখ করা হয়।
দেশের মানুষের বিশ্বাস আমরা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি,
ফাঁকি দেবার জন্য কাহিনী রচনা আর কি।
দেশের মানুষের ধারনার সাথে আমাদের কোন মিল নেই যা আমার মতো প্রবাসীরা এক বাক্যে স্বীকার করবেন।
দেশের অধিকাংশ মানুষ আমাদেরকে স্বার্থ্পর হিসাবেই জানে।
আমরা নাকি আমাদেরকে নিয়েই ব্যাস্ত।
আমরা যদি সত্যি সত্যি স্বার্থ্পর হই তাহলে কেন বার বার দেশের মাটিতে ফিরে যাই?
কেন আমাদের চোখের জল শুকায় না?
কেন সবকিছু ভূ্লে প্রবাসে পড়ে থাকি?
আমাদেরকে বলা হয় স্বার্থ্পর!
হায়রে মানুষ একি হলো তোমাদের?
কেন এত বড় অপবাদ দাও?
লক্ষ লক্ষ প্রবাসীরা যদি স্বার্থ্পর হতো তাহলে এই বাংলার অন্য এক রূপধারন করতো😦
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন