সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১

প্রবাসিদের চাওয়া পাওয়া 😙

 > আমরা কেন প্রবাসে থাকা মানুষটাকে কোনো মূল্যায়ন করছি না বা সম্মান দেখাচ্ছি না বা শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটাও হারিয়ে ফেলেছি তা কেন।


 তা আমাদের সমাজব্যবস্থা, আমাদের দেশ এবং দেশের মানুষের কাছে প্রবাসীদের ছোট করে রেখেছে তার কারণ রাজনৈতিক ইস্যু। এই ইস্যু দ্বারা দেশের প্রত্যেকটা মানুষ বিভক্ত হলেও প্রবাসীরা কিন্তু কখনোই বিভক্ত হওয়ার কথা চিন্তা করে না। 


কারণ তারা বোঝে যে, দেশটা তো আমার, দেশের মানুষগুলো তো আমার, দেশের মানুষগুলোর এই সুখ-দুঃখ এগুলোও তো আমার। তাহলে কেন দেশ থেকে বিভক্ত হতে যাব। এই বিভক্ত হওয়ার জন্য তো আমাদের প্রবাসে আসা নয়, এই বিভক্ত হওয়ার জন্য তো আমাদের এই রাত-দিন পরিশ্রম করে যাওয়া নয়।


  এই বিভক্তের পেছনে লুকিয়ে আছে একটা স্বার্থ। যে স্বার্থটা আসলে দেশের মানুষ বুঝলেও প্রবাসীরা তা বোঝে না, তাদের একটাই চিন্তা যে, আমার দেশের মানুষগুলোকে আমারই ভালো রাখতে হবে।


 আমরা আসলে টের পাই না বা বুঝতে পারি না আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রবাসীদের ভূমিকা কতটুকু। প্রবাসীরা এখানে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছে বা কি করে যাচ্ছে।


 তা আমরা দেখতে পাই গুটিকয়েক মানুষের কথা চিন্তা করলে যেমন মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান যে মানুষগুলোর জন্য একজন মানুষ আসলে বিদেশে যায়। আমাদের বুঝতে একটু কষ্ট হয় যে প্রবাসীরা বিদেশ গেলে কেন দেশে আসে না বা দেশে আসার কথা চিন্তা করে না, না করার কারণ তারা দেশে ফিরলে তাদের আপন মানুষগুলোর যে সুখটা আছে বিদেশ থাকাবস্থায়।


  তাদের সে সুখ থাকবে না দেশে ফিরলে। তাদের জন্যই ওদের বিদেশ থাকা, দেশে না ফেরা। দেশের সঙ্গে, দেশের মানুষজনদের সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পর্কের কথা চিন্তা করলে আমরা দেখতে পাই দেশের প্রতি,


 দেশের মানুষজনদের প্রতি প্রবাসীদের যে টান-সে টান দেশের মানুষদের নেই। কেননা তারা তাদের কাছে থাকা মাতৃভূমিকে অনুভব করতে পারছে না যেমনটা পারে দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীরা।


 দেশের মাটির গন্ধ পর্যন্তও তারা শুকতে পায় কেননা তাদের কাজের মধ্যে থাকে দেশকে উদ্দেশ্য করে খেটে খাওয়া মানুষদের কথা, আপন মানুষগুলোর হাসিমুখের জন্য অপেক্ষা এবং তার আরো কাছের যেমন স্ত্রী-সন্তান তাদের ভালো থাকার কথা।


  সন্তানের পড়াশোনার খরচ, বৃদ্ধ মা-বাবার ওষুধের খরচ সবকিছুর কথাই যেন তার মাথায় কেউ গেঁথে রেখেছে যে, তোমার টাকার জন্য তোমার সন্তান স্কুলের বেতন দিতে পারছে না,


 তোমার বৃদ্ধ মা-বাবা ওষুধ কিনতে পারছে না এই কথাগুলো যেন তার কানে বাজতেই থাকে। যার জন্য সে তার কাজ ছাড়াও বাড়তি কাজ করে যেন তারা হতাশ না হয় বা যত টাকা খরচ করে ঋণ নিয়ে সে বিদেশ এসেছে তা পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত তার যেন কোনো নিদ্রা নেই।


 সে কাজ করতেই থাকে তার মতো করে। সেই কাজ করার মধ্য দিয়েই মনে পড়ে দেশের কথা, দেশের মানুষজনদের কথা, আরো মনে পড়ে চেনা পরিচিত কিংবা অচেনা অপরিচিত দেশের পথ-ঘাটের কথা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রবাসিদের কস্ট 😥

  আমাদের বুঝতে একটু কস্ট    হয় যে প্রবাসিরা  বিদেশ গেলে কেন দেশে আসে না বা দেশে আসার কথা চিন্তা করে না, না করার কারণ তারা দেশে ফিরলে তাদের ...